Header Ads

Kaiser | কাইজার | Full Series Review Bangla | বাংলা রিভিউ | Afran Nisho | Rikita Nandini Shimu

 


সিরিজের নামঃ কাইজার
আইএমডিবি  রেটিংঃ ৮.২
Cast:  Afran Nisho,Rikita Nandini Shimu,Monirul Islam Rubel,Mostafizur Noor Imran,Shatabdi Wadud,Aisha Khan,Deepanwita Martin,Imtiaz Barshon,Shahed Ali.

স্পয়লার এলার্ট 
গল্পটা শুরু হয় এক রোমহষর্ক ঘটনা দিয়ে। একটা ডাবল মার্ডা/র কেইস!
তবে সে কথায় পরে আসছি- গল্পটা কিন্তু বেশ অভিনব এক চরিত্রকে নিয়ে। "কাইজার" নামটা শুনেই সবার আগে মাথায় চলে আসে The Usual Suspects এর সেই অবিস্মরণীয় চরিত্র keyser soze এর কথা! তারপর খেয়াল করি, না না, এ যে বাংলাদেশী এক থ্রিলার! আমাদের কাইজার চরিত্রে আছে নিশো।
এক Homic/ide Detective, সে আবার র/ক্ত দেখতে ভয় পায়! কিন্তু গোয়েন্দা হিসেবে তুখোড়। ভিডিও গেইমে তার addiction আছে, এতটাই বাজে পর্যায়ে যে সংসার হারিয়ে ফেলে সে। তার বউ শিরিনকে আবার বিয়ে করে তারই সবচেয়ে কাছের বন্ধু অম্লান। ব্যক্তিগতজীবনে মানসিক টানাপোড়েন কাটাতে সে বেছে নেয় ভিডিও গেইমের কাল্পনিক জগত, অথচ তার পেশা জীবনের কঠিন, বীভৎ/স বাস্তবতাগুলো নিয়ে।
কী সেই বাস্তবতা? চলুন এবার লেখার প্রথম লাইনে ফিরে যাই- ডাবল মার্ডা/র কেইস। একটা ফ্ল্যাটে পাওয়া যায় দুই বান্ধবীর মৃতদে/হ। আমাদের কাইজারের ডাক পড়ে তদন্তের জন্য। সেই খুনের তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে কেঁচো খুঁড়তে সাপ। রাজনীতির নোংরামি, মাদ/ক ব্যবসা- ঘটনা আরো জটিল হতে থাকে। একের পর এক জড়াতে থাকে কোন এক অচেনা সিন্ডিকেট, রিহ্যাব পরিচালক, এক মন্ত্রী, বাস মালিক সমিতির নেতা, এক সন্দেহজনক গতিবিধির ব্যারিস্টার, কাইজারের আপন মানুষজন.. একসময় মনে হয় সব বুঝি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে..
কিরকম সেই জটিলতা? সিরিজের একদম প্রথম পর্বেই দেখা যায়, কাজ থেকে ঘরে ফেরার সময় আক্রম/ণের শিকার হন ডিবি পুলিশের অফিসার কাইজার! একটা কাভার্ড ভ্যান থেকে বেরিয়ে আসে তিনজন আততা/য়ী।
শুরু থেকেই বোঝা যায়, আইনের লোক হয়েও কাইজারের সামনে অনেক বিপদ। কে বাঁচাবে তার ঠিক নেই।
এ প্রসঙ্গে দুটো ডায়ালগ মনে পড়ে গেলো।
"আপনি পুলিশ, আপনার ইউনিফর্ম এ মাই/র খাওয়ার ভয় নাই। কিন্তু ডাঃ এর ইউনিফর্ম দিয়ে রোগীর আত্মীয়-স্বজন ঠেকানো যায় না।"
"You should thank your government যে সরকারি চাকরি এত সহজে যায় না!"
পুরো সিরিজ জুড়েই চমৎকার সব ডায়ালগের পসরা! এমনকি নিশোর গালিগা/লাজ গুলোও ঘটনার প্রেক্ষিতে ছিল মানানসই, দারুণ উপভোগ্য।
চমৎকার কিছু টানটান উত্তেজনাময় কিছু দৃশ্যের কথা বলি। ৩ নাম্বার এপিসোডের কাহিনী। একদিকে কাইজার জেরা করছে সুমন আনোয়ারকে, আরেকদিকে ইমরান আর ইমতিয়াজ বর্ষণ। দুটো জেরা একই সময়ে চলছে ভিন্ন জায়গায়। কাইজার আর ইমরান কিন্তু জানে না যে তাদের জেরার বিষয়টা একই সুতোয় গাঁথা। তারা নিজেদের মতো করে জেরা করছে। কিন্তু আমরা দর্শকরা জানি আগে থেকে, তাই একটা টেনশন কাজ করতে থাকে! কী হয়..কী হয়..ধরে ফেলে নাকি..চার অভিনেতার অসাধারণ পারফরম্যান্স।
আবার ধরুন কাইজারের ব্যক্তিগত জীবনে যদি আসি- তার স্ত্রী শিরিনকে বিয়ে করে তারই ছোটবেলা থেকে সবচেয়ে কাছের বন্ধু অম্লান। কাইজারের এক কন্যা। সেই কন্যা কাইজারকে ডাকে বাবা, আর অম্লানকে ডাকে আব্বু। এটা কাইজার সইতেও পারে না, কিছু বলতেও পারে না। প্রতি সপ্তাহে একবার সে মেয়েকে দেখতে আসে, তখন অনিচ্ছা সত্ত্বেও প্রাক্তন স্ত্রী, প্রাক্তন আপন বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যায়- একসময়ের সবচেয়ে আপন মানুষগুলো, যারা এখন অনেক দূরের।
সেই ক্ষোভ, দুঃখের পরিণতি দেখি কাইজারের আরেক বন্ধু তন্ময়ের জন্মদিনের পার্টিতে। কাইজার, শিরিন আর অম্লান- একসাথে দেখা হয়ে যায় তিনজনের অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে।- এই তিনজনের ভেতরে জমে ওঠা তিক্ততা একটা প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা তৈরি করে দর্শকের মনে!
আসলে, কাইজারের সৌন্দর্য এখানেই। এটা কোন typical থ্রিলার সিরিজ না। এখানে psychological thriller, action, suspense, drama সব একসাথে মিশে যায়। ঠিক বাস্তব জীবনটা যেমন জটিল, কাইজারের জগতটাও তেমনই।
বাংলা ওয়েব সিরিজে যে কয়জন অভিনেতার সবচেয়ে ভালো করার কথা, তাদের ভেতরে নিশো অন্যতম। কেন জানি না, তাকে সেভাবে দেখা যায় নি- যেমনটা "তাকদীর" দিয়ে চঞ্চল চৌধুরী, "মহানগর" দিয়ে মোশাররফ করিম মন জয় করেছেন। তবে কাইজার দেখে মনে হলো, একটা হুংকার ছেড়েই যেন নিশোর রাজত্ব শুরু হলো, যা টিকে রইবে সামনে বহু, বহুদিন।
Happy Watvhing.. 
 
রিভিউটি লিখেছেনঃ  SẠBBỊR HỌSSẠỊN
 
 
সিরিজ ট্রেইলারঃ 

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.