Header Ads

A Silent Voice: The Movie Full MOvie Review Bangla | এনিমেশান মুভি বাংলা রিভিউ | Miyu Irino | Saori Hayami | Aoi Yûki

Today's anime movie: 𝐀 𝐒𝐢𝐥𝐞𝐧𝐭 𝐕𝐨𝐢𝐜𝐞
কয়েকদিন আগে গ্রুপে অ্যানিমে মুভির পোলের উপর দিকেই দৃষ্টিগোচর হলো মুভিটা। ইচ্ছে জাগলো এটা নিয়ে একটু লেখালেখি করাই যায়। ইতোমধ্যে এর উপর একটা রিভিউ আমি দিয়েছি কিন্তু ওটা ছিল সাজেশন রিভিউ। আজ করবো আলোচনা। Explanation বলা যেতে পারে, I think...
Spoiler Alert
আচ্ছা, মুভির শেষে কি মনে হয়েছে যে ডিরেক্টর তাদের মানে আমাদের নিশিমিয়া(Nishimiya) আর ঈশিদার(Ishida) মিল কেন দেখালো না! মানে, অন্তত এমন একটা সিন দিতে পারতো তাদের মিলনের।
আমিও প্রথম এই প্রশ্ন করেছিলাম। সে কথা পরে বলি।
আমরা প্রথম থেকে শুরু করি। যদিও খুব কঠিন কাহিনী না যেটা বুঝিয়ে দিতে হবে, কিন্তু হতে পারে এমন কিছু আপনি জানতে পারবেন যা জানতেন না?!
*** নিশিমিয়া কেন সবসময় স্মাইল করতো, থ্যাঙ্কিউ বলতো বা কথায় কথায় সরি বলতো, এমন প্রশ্ন কখনো জেগেছে?
এটা আমি একটু নিজের মতো করে বলি।
ছোটবেলা থেকেই তার আশেপাশের মানুষ তার প্রতি একটু অন্যরকম আচরণ করতো, যেহেতু সে সবার মতো স্বাভাবিক ছিলো না। সে(নিশিমিয়া) তখন থেকেই মনে করতো সে তার আশেপাশের সবাইকে বিরক্ত করছে, সবাই তার কারণে সমস্যা অনুভব করছে। তাই, সব ক্ষেত্রে দোষ যারই থাক না কেন, সে সরি বলতো। থ্যাঙ্কিউ বলে সর্বদা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতো। স্মাইল করতো কারণ, তার প্রতি এমনিতেই সবার(ফ্যামিলি মেম্বাররা মেইনলি) আলাদা খেয়াল রাখা লাগে, তার উপর তার মন খারাপ দেখে যেন তাদের আরও চিন্তা না করা লাগে। যদিও স্মাইলটা বরাবরই ফেইক ছিলো 🙂
>> কেন ঈশিদা আত্মহত্যা করতে চাইছিলো?
ঐ দিন যখন স্কুলে নিশিমিয়ার মায়ের কমপ্লেইন আসে, সেদিন প্রথম ঈশিদা তার ভুল বুঝতে পারে। এরপর সেদিনই নিশিমিয়ার মায়ের সাথে দেখা করে আসার সময় যখন ঈশিদা তার মায়ের কানের ক্ষত দেখে তখন তার অনুশোচনা চরম পর্যায়ে পৌছায় যাতে সে সিদ্ধান্ত নেয় সে মায়ের এত টাকার ক্ষতিপূরণ দেবে। পাশাপাশি তার ছিলো না কোনো বন্ধু, যারা ছিলো তারা তো বিশ্বাস আগেই ভেঙেছে। তা ছাড়া নিশিমিয়ার কাছে সে ক্ষমাও চাইতে পারেনি (হোক সে অনুশোচনা কিংবা দূরত্বের কারণে)। তাই সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো (ভাগ্য ভালো বাচ্চাগুলো বাজি ফুটিয়েছিলো!!!)
আমার সবচেয়ে বেশিবার দেখা অ্যানিমে মুভি এটি, কিন্তু ১ম ও ২য় বারের পর প্রতিবার নিশিমিয়াকে টিজ্ করার সিনগুলো আমি টেনে দেখেছি 😑 খারাপ লাগতো বেচারা মেয়েটাকে এমন টিজ্ করতে দেখলে
>> মনে আছে ঈশিদা আর নিশিমিয়া ব্রিজে মাছেদের রুটি দেয়ার সময় যখন নিশিমিয়ার কনভারসেশন(conversation) খাতাটি যখন নিচে পরে যায়, তখন নিশিমিয়াও সেটা ধরতে ব্রিজ থেকে লাফ দেয়। ঈশিদা তাকে ধরতে চেষ্টা করে কিন্তু পারে না। এটা স্বাভাবিক মনে হলেও এটা একটা ক্লু। অবাক হচ্ছেন!
ফায়ারওয়ার্কস এর দিন যখন নিশিমিয়া তার বাসা থেকে লাফ দিতে যায়, সেদিন তাকে আটকায় ঈশিদা।
মূলত, সেদিন ব্রিজে ঈশিদা নিশিমিয়ার কাছে থাকলেও তারা কাছাকাছি ছিলো না (আত্মিক দূরত্ব বোঝানো হয়েছে)। ঘটনা আগানোর সাথে সাথে তারা একজন আরেকজনের কাছে আসে ও একে অপরকে বুঝতে শুরু করে। আর ঐ দিন তাদের মধ্যে দূরত্ব কিছুটা থাকলেও ঈশিদা তাকে ধরতে পারে, কারণ তারা ইতোমধ্যে অনেকটা কাছাকাছি। {চাইলে মুভিতে দেখতে পারেন, ব্রিজ থেকে লাফ দেয়ার সময়কার সিনটা হাইলাইট করে দেখানো হয়েছে। আর বিশ্লেষণটা সম্পূর্ণই আমার চিন্তা-ভাবনা, তাই পছন্দ না হলে আপনারটা জানাতে পারেন। See you not for mind}
>> নিশিমিয়ার আত্মহত্যা চেষ্টার ব্যাপারে একটু বলি। মনে হতে পারে যে সবকিছুই তো ঠিক চলছিল। তার মাঝে হঠাৎ নিশিমিয়ার আত্মহত্যার চেষ্টার মানে কি?! একটা কারণ বলা যায় যা উয়েনো(Ueno) পার্কে নিশিমিয়াকে বলেছিলো। “তোর কারণে আজ ঈশিদার এই অবস্থা। আমাদের বন্ধুমহল ভাঙার কারণ তুই।” এটা নিশিমিয়া নিজেও বিশ্বাস করে নিয়েছিলো (অন্যের দোষে নিজে সরি বলার অভ্যাস তো আগে থেকেই)। এছাড়া ঈশিদাকে নিশিমিয়া বলেওছিলো, “যতক্ষণ আমার সাথে থাকবে, সর্বদা দুঃখী থাকবে।” ব্রিজে অসুস্থ ঈশিদা ও নিশিমিয়া যখন রাতের আঁধারে (যদিও আঁধার ছিলোনা তখন) মিলিত হয়, তখনও নিশিমিয়া স্বীকার করে যে যদি সে আরও আগেই চলে যেত তবে ঈশিদা আজ কোমায় থাকতো না। তো, নিশিমিয়ার আত্মহত্যা প্রচেষ্টার মটিভ ক্লিয়ার।।।
>> এখন বলি এনডিংয়ের কথা। মনে ডিরেক্টর কেন নিশিমিয়া আর ঈশিদার মিলন দেখালো না। ডিরেক্টরকে তার পই পই করে হিসাব দিতে হবে!!!
না, না, এমনি বললাম। ডিরেক্টর আসলে তাদের প্রত্যক্ষ কোন মিলন না দেখালেও, পরোক্ষভাবে ঠিকই মিলিয়ে দিয়েছেন।
সেই রাতে, ঈশিদা নিশিমিয়ার স্বপ্নে আসে আর তাকে তার বিদায়ের ব্যাপারে জানান দেয়। নিশিমিয়া হন্তদন্তভাবে ব্রিজে ছুটে আসে আর ঈশিদাকে হারিয়ে ফেলেছে ভেবে কাঁদতে থাকে। তখনই এনট্রি ঘটে আমাদের নায়ক দাদার! সেখানে ঈশিদা উল্লেখ করে যে, একটু আগে নিশিমিয়া স্বপ্নে যা দেখেছে, তা মূলত ঈশিদা নিজেই ছিলো। তাদের উভয়ের মাঝরাতে একই সময়ে একই জায়গায় উপস্থিত হওয়া মোটেও কাকতালীয় ন‌য়। তারা এমনভাবে মিলে গিয়েছে যে তারা একে অন্যের স্বপ্নে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে। যাকে বলা যেতে পারে, তাদের soul connected হয়ে গিয়েছে। একটু আজব শোনালেও....
কিছু করার নেই কারণ আমার কাছে এর অন্য কোনো ব্যাখ্যা নেই 😁
তাই ইনডিরেক্টলি, তাদের মিলন ডিরেক্টর দিয়েই দিয়েছেন {ওদের (ডিরেক্টর) মাথায় ব্রেইন হয়ত একাধিক হতে পারে, I think 🤔}।
*** এখানেই শেষ নয়! এবার সম্পুর্ণ মুভির ব্যাপারে বলে নিই।
মুভিতে প্রধান চরিত্র দুজনের কাহিনীর পাশাপাশি তাদের বন্ধুমহলও একটা বড় অংশ জুড়েই ছিলো। এখানে আমাদের শিক্ষনীয় দিক হতে পারে যে, কোনো মানুষই নিখুঁত বা নির্ভুল নয়। কোনো মানুষ দোষ-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু একসাথে থাকার সময় সেগুলো মানিয়ে নিয়েই এগিয়ে যেতে হয়। যেমনটা শেষ দৃশ্যে দেখেছি। অনেকবার ভুলের কারণে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু পরিশেষে, বন্ধু বন্ধুই। বন্ধুদের মধ্যে পই প‌ই হিসাব চলে না।
একটা বিষয়ে আপনারা আমার সাথে একমত হবেন যে, উয়েনোর একটু শাস্তি পাওয়া উচিৎ ছিল। যদিও! যদিও সে যা করেছে সব ঈশিদার কথা চিন্তা করেই, তবুও সে নিশিমিয়ার সাথে বেশিই খারাপ আচরণ করেছে। তাই আমার মতে, ও একটু শাস্তি ডিজার্ভ করে 🙄
এমনিতেই অনেক বড় হয়ে গিয়েছে তাই আর বাড়াবো না। বড় হয়ে যাচ্ছে বলে অনেক লেখা ডিলিট করে দিয়েছি। অবাক হলেও তা-ই সত্য। শুধু এটুকু বলবো যে,
""Nishimiya is one of the cutest character I've ever seen in anime... Mainly the smaller version...""
যারা যারা এ পর্যন্ত পড়েছেন তারাই প্রকৃত Silent Voice লাভার। মনের গহীন থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
কোনো ভুল ব্যাখ্যা বলে থাকলে কিংবা আপনাদের নিকট কোনো ব্যাখ্যা থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানবেন।
Rascal does not dream of a Bunny girl এর একটা রিভিউর কথা চিন্তা করছি। রিভিউ করবো কিনা তা জানাবেন। এবং অন্য কোনো অ্যানিমে রিভিউ চাইলে বা সাজেশন থাকলেও জানাতে পারেন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। 💝

 

 রিভিউটি লিখেছেনঃ M. Adnan Islam Aiman

 

মুভি ট্রেইলারঃ


 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.