Header Ads

Kingdom of Heaven | কিং অব হেভেন মুভি রিভিউ বাংলা | Movie Review Bangla | Orlando Bloom | Eva Green | Liam Neeson

 

সালাহউদ্দীন আসবে, মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ নিতে সে নিশ্চয় আসবে। আর যখন আসবে তখন সে জেরুজালেম ছিনিয়ে নেবে।
~মার্শাল টাইবেরিয়াস
🎬KINGDOM OF HEAVEN
®⭐⭐⭐⭐
📢স্পয়লার এলার্ট📢
◾সময়কাল ১১৮৪ সাল।
সদ্য নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়ে তার সমাধীস্থলের পাশে বেকুল মনে বসে থাকা বেলিয়নের, গ্রামের পাশ দিয়ে জেরুজালেমের পথে যাচ্ছিল
গডফ্রে অফ ইবেলিনের নেতৃত্ব বর্বর দখলদার খ্রিষ্টান ক্রুসেডার বাহিনী! তো, যাত্রাপথে গডফ্রে অফ ইবেলিন বেলিয়নকে প্রস্তাব করে তার সাথে পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের দিকে মার্চ করতে। কিন্তু বেলিয়ন সাফ জানিয়ে দেয় সে শুধুমাত্র একজন কামার বৈকি কিছুই নয়। অতএব সে তাদের দলে ভিড়বেনা। তবে কিছু সময় পরে ভাগ্যক্রমে কামার বেলিয়নকে ভিড়তে হয় গডফ্রে অফ ইবেলিনের ক্রুসেড বাহিনীতে! অতপর বেলিয়নের নেতৃত্ব গডফ্রে অফ ইবেলিনেরে ক্রুসেড বাহিনী গন্তব্য ধরে পবিত্রভূমি জেরুজালেমের পানে।
◾অন্যদিকে জেরুজালেমের রাজা চতুর্থ বল্ডউইন কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পরে আছে দীর্ঘদিন। নামে রাজা হলেও রাজকার্জ পরিচালনায় তার তেমন কোনো অবদান নেই। কারন রাজার শারীরিক অসুস্থতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, জেরুজালেমের শাষনভার অলিখিত ভাবে নিজ দখলে নিয়েছে রাজকুমারী সিবিলার স্বামী গী দ্য লুসিনিয়ঁর। যে আবার উগ্র-মতাদর্শে বিশ্বাসী, অর্থাৎ গী দ্য লুসিনিয়ঁর চায় জেরুজালেমে বসবাসরত মুসলিমদের হত্যা করতে। যা নিয়ে আবার নাইট টেম্পলার সেনাপতি মার্শাল টাইবেরিয়াসের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব রয়েছে গী দ্য লুসিনিয়ঁরের! কারন রণ অভিজ্ঞ মার্শাল টাইবেরিয়াসের খুব ভালো করে জানে। যে, জেরুজালেমের মুসলিমদের উপর ক্রুসেডাররা যদি একটি ফুলের টোকাও দেয়। তবে সূদুর সিরিয়া থেকে লক্ষ সৈন্যের লস্কর নিয়ে জেরুজালেমের দিকে মার্চ করবে, সিরিয়া থেকে মিশর পর্যন্ত বিস্তৃত অখণ্ড আইয়ুবী সুলতানাতের অধিপতি সুলতান সালাদিন {সালাহউদ্দীন আইয়ুবী}। যার কারনে মার্শাল টাইবেরিয়াস মন্ত্রীপরিষদের সভায় গী দ্য লুসিনিয়ঁরকে উদ্দেশ্য করে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলে যে,
"সালাহউদ্দীনকে যুদ্ধের উষ্কানি দেওয়া আমাদের জন্য কাল হয়ে দাড়াবে। সালাহউদ্দীনের অধীনে শুধুমাত্র এক সিরিয়ার জমিনেই রয়েছে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজারের বেশী সৈন্য। তার যখন যেখানে যে অবস্থাই ইচ্ছা করবে যুদ্ধ করবে এবং জিতে যাবে।"
◾সময়কাল ১১৮৫ সাল।
সেনাপতি টাইবেরিয়াসের কথাকে পাত্তা না-দিয়ে গী দ্য লুসিনিয়ঁর, এবং তার আরেক সহযোগী রেনাল্ড অফ শতিলঁ মিলে আক্রমন করে বসে একটি মুসলিম কাফেলার উপর। শুধু তারা আক্রমন করে ক্লান্ত না-হয়ে পুরোদমে বর্বরোচিত গন্যহত্যা চালায় কাফেলাবাসীর উপর! অতপর যথারীতি কাফেলার নির্যাতিত মুসলামানের আর্তচিৎকার পৌঁছেযায় সুলতান গাজি সালাহউদ্দীনের কানে।
◾ক্রুসেডার কতৃক মুসলিম কাফেলা আক্রমনের খবর শুনামাত্র, এক মূহুর্ত সময় নষ্ট না-করে। শরীরে যুদ্ধের কালো পোশাক জড়িয়ে, দীর্ঘদিন ক্রুসেডারের রক্তের স্বাদ থেকে বিরত থাকা তরবারিখানা কোমরে গুঁজে, মাথায় কালো পাগড়ি বেঁধে, অসংখ্য যুদ্ধের সাথী নিজের প্রিয় গোড়ার পিঠে চেপে, লক্ষ সৈন্যের লষ্কর নিয়ে সিরিয়ার দামেস্ক থেকে বেরিয়ে পড়ে জেরুজালেমের পথে। উদ্যেশ্য নিরীহ মুসলিম কাফেলার উপর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালানো দখলদার ক্রুসেডার বাহিনীকে উচিত শিক্ষা দেওয়া।
লুটেরা দস্যু ফ্যাক্ট~⚔️
সালাহউদ্দীন কে?
"সালাহউদ্দীন হচ্ছে একজন লুটেরা যুদ্ধবাজ ধর্ম দস্যু"!
জ্বী হ্যা ইহা হচ্ছে ইউরোপ এবং উপমহাদেশের তথাকথিত কিছু দালাল বুদ্ধিজীবী সমুদ্বয়ের মতামত।
কিন্তু ইতিহাসের জবানবন্দিতে সালাহউদ্দীন হচ্ছে আইয়ুবী সালতানাতের প্রতিষ্টাতা সুলতান। এবং ইসলামের একনিষ্ঠ সৈনিক ও একজন ন্যায় পরাণ দক্ষ সু-শাষক। যার ভয়ে বর্বর খ্রিষ্টান ক্রুসেডার বাহিনী প্রতিনিয়ত চরম আতংকে নিজেদের দিনকাল অতিবাহিত করতো। এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সালাহউদ্দীন তার শাসনাধীন কিংবা যুদ্ধে বিজয়ী ভূমিতে বসবাসরত অমুসলিমদের উপর কখনো কোনো অবস্থাতেই নির্যাতন, নিপিড়ন কিংবা জুলুম করেননি। এবং কোনো অমুসলিমকে ইসলাম ধর্ম গ্রহনে বাধ্য করেনি। তার রাজত্বে সকল ধর্মের অনুসারী প্রত্যকে স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্ম-কর্ম পালন করতো।
যার কারনে রিডলি স্কট পরিচালিত কিংডম অব হেভেন-সিনেমাটি মুক্তি লাভের পর ঐসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবী জ্ঞাণপাপীদের গালে রিতীমতো মতো জুতার বাড়ি পড়ার উপক্রম হয়।
অভিনয়~👌
কিংডম অব হেভেন সিনেমায় সকল অভিনেতা অভিনেত্রী যথেষ্ট সাবলীল অভিনয় করেছে। তবে এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হয় যে, সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর চরিত্রে অভিনয় করা সিরিয়ান অভিনেতা ঘাসান মাসুদের নাম। সে যখনই পর্দায় এসেছে তখনই সমস্ত ফোকাস সে একাই কেড়ে নিয়েছে! এক কথায় ঘাসান মাসুদের অভিনয় জাস্ট~💥
বিজিএম~🎶
এই সিনেমার অন্যতম একটি প্রধান শক্তিশালী দিক হচ্ছে বিজিএম। সিনেমাটির যে দৃশ্যপটে যখনই বিজিএম বেজে উঠেছে, তখনই দর্শকের মনে এক অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে! সেই অনুভূতি কি রকম তা বলে বুঝানো সম্ভব নয়, শুধু শুনেই অনুভব করা সম্ভব।
ইতিহাসের পর্যালোচনায়~🗞️
যতই বলা হোক না-কেন যে ইহা একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা। কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে সরাসরি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি সিনেমা নির্মান সম্ভব নয়। তো, সেই হিসেবে কিংডম অব হেভেন সিনেমায় ব্যাপক রূপক অর্থে বেলিয়নের চরিত্রটি চরিত্রায়িত করা হয়েছে। বাকিসব মোটামুটি সত্য ঘটনার অবলম্বন ছিল। সর্বপরি ইতিহাস এবং ফ্যান্টাসির সমন্বয়ে পরিচালক রিডলি স্কটে সুনিপুণ হাতে নির্মিত হয়েছে কিংডম অব হেভেন সিনেমাটি।
রিডলি স্কটের প্রাপ্য~👏
সাধারনত বলিউড বলেন আর হলিউড, প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রির সিনেমায় মুসলিমদের ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়! কিন্তু কিংডম অব হেভেন সিনেমায় এর ব্যাতিক্রম ঘটিয়েছে পরিচালক রিডলি স্কট! সত্য বলতে তিনি তার সিনেমার গল্পে বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর পক্ষপাতিত্ব করেননি। অথবা বলা যায় যে সিনেমাটি নির্মানে তিনি সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা চেষ্টা করেছেন। যা সত্যিই সর্বমহল কতৃক প্রশংসার দাবীদার।
🔰সর্বশেষঃ কিংডম অব হেভেন সিনেমাটি মূলত হাত্তিনের যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত৷ তবে একথা মাথায় রাখা প্রয়োজন যে উক্ত সিনেমাটি হাত্তিনের যুদ্ধের পরিপূর্ণ পঠভূমির উপর নির্মিত নয়। শুধুমাত্র উক্ত যুদ্ধের অনেকগুলো ঘটনার মধ্যে থেকে মাত্র একটি ঘটনার উপর নির্মিত হয়েছে। ওভার অল কিংডম অব হেভেন একটি মাস্টওয়াচ সিনেমা বলা চলে।
যুদ্ধে খ্রিস্টানদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে। জেরুজালেম আত্নসমর্পণের বিষয়ে বেলিয়ান যখন সালাহউদ্দীনের সাথে দরকষাকষি করছিল সেই কথোপকথনের অংশবিশেষ👇
Balian: Do you offer terms! I ask none.
Salahuddin: I will give every soul safe conduct to Christian land. Every soul.
Salahuddin: No one will harmed. I swear to Allaha.
Balian: The Christians butchered every Muslim within when they took the city.
Salahuddin: I am not those men
Salahuddin: I am Salahuddin, Salah-Uddin
Balian: Then under these terms I surrender Jerusalem.
Salahuddin: AssalamuAlaikum
Balian: And peace be with you
Balian: What is Jerusalem worth to you?
Salahuddin: Nothing.... Everything!
____________________________________ কিছু তথ্য👇
🔰বাজেট
💵$১৩০+/-M
💰বক্সঅফিস
💵ডোমেস্টিক: $৪৭+/-M
💵ওভারসীস : $ ১৭০+/-M
📟টোটাল : $২১৭+/-M
🏆পুরষ্কার
🎖️১টি H.F.A-সহ মোট ২০টি নমিনেশন
🎖️১টি H.F.A-সহ মোট ৫টি পুরষ্কার জয়
🔰আইএমডিবি রেটিং
📶৭.২+/- [২৮২,৩৯৯+ভোট]
Happy Watching
🍿
Thanks
 
রিভিউটি লিখেছেনঃ  Mohammad Arfan
 
 
মুভি ট্রেইলারঃ

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.