Header Ads

The Forgotten Battle Full Movie Bangla Review | বাংলা রিভিউ দ্যা ফরগটেন ব্যাটেল | Gijs Blom | Jamie Flatters | Susan Radder


 

 

💢💮রিভিউ 💮💢
২০২১ সালের ১৫ই অক্টোবর নেটফ্লিক্স প্রচারিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সত্য ঘটনা অবলম্বনে জার্মান অধিকৃত নেদারল্যান্ডস এর শেষ মুহূর্তের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে The Forgotten Battle মুভিটি।
বাস্তব ঘটনা নিয়ে নির্মিত মুভিগুলো সবসময় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।
আর মুভির প্লট যদি হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তাহলে সোনায় সোহাগা। এমনই একটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে তৈরী নেদারল্যান্ডস এর বিখ্যাত যুদ্ধের সারভাইভাল এই মুভি।
সাধারণত অন্যান্য ওয়ার মুভিতে নিজ দেশের বীরত্ব সুন্দর করে সূক্ষ্মভাবে প্রকাশ করে, কিন্তু যেহেতু এই মুভি নেটফ্লিক্স প্রচারিত, সেহেতু সত্য ঘটনার পাশাপাশি জার্মানদের শক্তিশালী বাটেলফিল্ড ও পরিষ্কার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডস এ জার্মানদের শক্তিশালী অবস্থান ছিল, এমনকি বার্লিন পতনের পরেও নেদারল্যান্ডস এর বেশিরভাগ অঞ্চল প্রবল পরাক্রমশালী জার্মানদের অধীনে ছিল। ১৯৪৪এর মাঝামাঝি মিত্রবাহিনীর সারাশি অভিযানের পর জার্মান বাহিনী নেদারল্যান্ড ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেও পরে তারা তা বাতিল করে মিত্রবাহিনীর সাথে আবারো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। যা আমরা Band of Brothers সিরিজ ও Black Book মুভিতে দেখেছি।
জীবন বাঁচার তাগিদে একটা মানুষ কত কষ্ট সহ্য করতে পারে তা ষ্পষ্ট ফুটে উঠেছে এই মুভিতে।
প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে হলে মানুষের সাহায্য মানুষের অনেক বড় নিয়ামক হতে পারে।
🎬হালকা স্পয়লার📽️
1944 সালের সেপ্টেম্বরে জার্মান অধিকৃত নেদারল্যান্ডস এ অবতরণ করে।
Teuntje Visser সহযোগী মেয়র অফিসে কাজ করে। যদিও তিনি এবং তার বাবা (একজন মেডিকেল ডাক্তার) প্রাথমিকভাবে পক্ষ বেছে নেওয়া এড়িয়ে চলেন। তার ছোট ভাই ডির্ক ডাচ প্রতিরোধের সদস্য। পাশের জার্মান কনভয়কে আক্রমণ করার জন্য
ডির্ককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অন্যান্য প্রতিরোধ সদস্যদের নাম প্রকাশ করার জন্য নির্যাতন করা হয়।
এদিকে, ওয়াফেন এসএস -এর দাস রেইচের একজন ডাচ স্বেচ্ছাসেবক মারিনাস ভ্যান স্টেভেরেনকে জিল্যান্ডে জার্মান কমান্ড্যান্ট ওবারস্ট বার্গোফের সেক্রেটারি এবং অনুবাদক হিসেবে কাজ করার জন্য ইস্টার্ন ফ্রন্ট থেকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বেসামরিক জিম্মিদের মৃত্যুদণ্ড সহ নাৎসিদের ভারী হাতের কৌশল নিয়ে মারিনাস ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ে। তিনি Teuntje এবং তার বাবার সাথে সহানুভূতি প্রকাশ করেন কারণ তারা বার্গফের অফিসে ডির্ক এর মুক্তির জন্য আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন। প্রাথমিক আশ্বাস সত্ত্বেও যে ডির্ক এর প্রতি নমনীয় আচরণ করা হবে, কিন্তু বার্গোফ শেষ পর্যন্ত নির্দেশ দেয় যে অন্যান্য প্রতিরোধ সদস্যদের সাথে ব্যতিক্রম ছাড়াই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। মারিনাস গোপনে টিউন্টজেকে খবরটি দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু একজন জার্মান অফিসার তাকে দেখে বার্গোফের কাছে রিপোর্ট করেন।
শাস্তি হিসাবে, তাকে ডির্ককে মৃত্যুদণ্ডের জন্য ফায়ারিং স্কোয়াড লাইনআপের অংশ হিসেবে নির্বাচিত করা হয় এবং যুদ্ধের দায়িত্বে ফেরত পাঠানো হয়।
ডির্ক এর মৃত্যুর পর, টুইন্টজে প্রতিরোধের দিকে ধাবিত হয়। টিউন্টজে জানতে পারেন যে ডির্ক গোপনে শেলড্ট নদীর তীরে জার্মান আর্টিলারি অবস্থানের ছবি তুলছিলেন। Teuntje এবং তার সেরা বন্ধু, Janna নামে একটি প্রতিরোধ সদস্য, ওয়ালচেরেন দ্বীপে অগ্রসর হয় মিত্র বাহিনীর কাছে Dirk এর ছবি গোপনে মিত্রবাহিনীর কাছে দেওয়ার জন্য।
অন্যত্র, গ্লাইডার পাইলট রেজিমেন্টের গ্লাইডার পাইলট সার্জেন্ট উইল সিনক্লেয়ার, ক্যাপ্টেন টনি টার্নার এবং স্টাফ সার্জেন্ট ম্যাককে তাদের কমরেডদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে অপারেশন মার্কেট গার্ডেনের সময় জিল্যান্ডের একটি প্লাবিত মোহনায় তাদের এয়ারস্পিড হর্সা গ্লাইডার বিধ্বস্ত হওয়ার পর। দুর্ঘটনার সময় টার্নার আহত হন। জলাভূমির মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে, তারা একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় কিন্তু জার্মান সৈন্যরা তাদের আক্রমণ করে। ব্রিটিশ বিমানবাহিনী সৈন্যরা পরে ওয়ালচেরেন দ্বীপে অগ্রসর হয়ে কানাডিয়ান সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়।
ওয়ালচেরেন কজওয়ে যুদ্ধের আগে, তৌন্তজে বন্দি হন যখন জান্নাকে নৌকায় ছবি সহ পালাতে সাহায্য করে। জান্না গুলিবিদ্ধ হয় এবং মারাত্মকভাবে আহত হয়।
মারিনাস ওয়ালচেরেন দ্বীপের জার্মান প্রতিরক্ষায় অংশ নেন এবং সিনক্লেয়ার মিত্রবাহিনীর আক্রমণে অংশ নেন। উভয় পক্ষই ব্যাপক হতাহত হয় কিন্তু মিত্র বাহিনী শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়। মারিনাস জার্মান বাহিনীকে ত্যাগ করে।
যুদ্ধের শেষের দিকে, মারিনাস একজন জার্মান সৈন্যকে হত্যা করেন কারণ একজন জার্মান সেনা টেউন্টজেকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মারিনাস সংগ্রামের সময় গুলিবিদ্ধ হয়। একজন কৃতজ্ঞ Teuntje তার প্রতি যত্নশীল হন, কিন্তু মারিনাস তার আঘাতের কারণে মারা যায়। সিনক্লেয়ার এবং অন্যান্য মিত্র সৈন্যরা মেরিনাসের মৃতদেহের পাশে টেউন্টজেকে খুঁজে পান। শহরটি স্বাধীন হওয়ায় টিউন্টজে চলে যায়।
ওয়ালচেরন কজওয়েতে মিত্রশক্তির বিজয়, অ্যান্টওয়ার্পে মিত্রবাহিনীকে সমুদ্রপথ মুক্ত হয় এবং 1945 সালের 5 মে মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় নেদারলযান্ডস স্বাধীন হয়।
যারা যুদ্ধ নিয়ে তৈরী সারভাইভাল সিনেমা ভালোবাসেন তাদের অনেক ভালো লাগবে।
মুভিটির বিবরণ
মুভির নামঃ দ্য ফরগটেন ব্যাটেল
পরিচালকঃ মার্থিজস ভ্যান হেইজিঞ্জেন জুনিয়য়
গল্পের লেখকঃ পলা ভ্যান ডার ওস্ট
মুভির ধরণঃ ড্রামা, ওয়ার, অ্যাকশন।
ভাষাঃ ডাচ | জার্মান | ইংলিশ
অনুবাদকঃ Marib Siraj
মুক্তির তারিখঃ ১৫ অক্টোবর ২০২১
আইএমডিবি রেটিংঃ ৭.৩/১০
আইএমডিবি ভোটঃ ৮,৭০০ টি
রান টাইমঃ ১২৩ মিনিট

 

রিভিউটি লিখেছেনঃ  Neel Haque

 

মুভি ট্রেইলারঃ


 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.