Header Ads

Shamshera Movie Review in Bangla | স্বমসেরা বাংলা মুভি রিভিউ | Ranbir Kapoor | Vaani Kapoor | Ronit Roy


Shamshera Movie
Director: Karan Malhotra
IMDB Rating: 4.9 
হালকা স্পয়লার
…..
আপনাদের KGF মুভির কথা মনে আছে? Koller Gold Field এর বন্দী দশায় জন্ম নেয়া একদল বাচ্চাকাচ্চা যারা কিনা মাটিতে ছবি এঁকে, লাঠি দিয়ে দেব পুরুষ বানিয়ে, গানে গানে এক মহানায়কের আগমণের নাটক বানাতো- তাদের কথা মনে আছে?
ধরুন বৃটিশ ভারত আমলের তেমনি এক বন্দী দুর্গ ‘কাযা ফোর্ট’। যেখানে ‘খামিরন’ জাতের একদল মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সে সময়কার ভারতীয় পৌত্তলিকতায় যাদের নিচু জাত বলে অভিহিত করা হত। KGF এ তো সোনা উত্তোলনের জন্য তাদের আটকে রাখা হয়েছিলো; কিন্তু ‘কাযা ফোর্টে’ এই মানুষগুলোকে আটকে, নির্যাতন করে আসলে বৃটিশ বা তথাকথিত উঁচু জাতের মানুষেরা তাদের দিয়ে কি করাচ্ছে তা পুরো ২ ঘন্টা ৩৮ মিনিটের মুভিতে আমি বুঝতে পারিনি। যাই হোক, এবার ভাবা যাক KGF এ তো রকি ভাই এসেছিলো তাদের মুক্তির মহানায়ক হয়ে; কিন্তু এই ‘কাযা ফোর্টে’ অমন নায়ক হয়ে কেউ আসেনি। অথবা ‘রকি ভাইয়ে’র মত একজন এলেও সে সফল হতে পারে নি; উল্টো বেঘোরে মারা পড়েছে। এবার কল্পনা করুন- ওই নাচে গানে নাটক করা বাচ্চাগুলোর মধ্যে কেউ একজন বড় হল। এবং বন্দী কোন এক বৃদ্ধের মুখে তাদের কাযা দুর্গ থেকে মুক্তি পাবার পথ জেনে বেরিয়ে গেল একা। এরপর পুরো মুভি জুড়ে তার একটাই চেষ্টা- কিভাবে সে বাকিদের মুক্ত করবে?
...
মোটামুটি সংক্ষিপ্তভাবে এই হল Shamsera মুভির গল্প। প্রিমিস শুনে যারা বেশ একটা ইন্টারেস্টিং মুভির কথা ভাবছেন- তাদের জন্য বলি; হতেই পারতো বেশ ভাল মুভি যদি না ডিরেক্টর ‘কারান মালহোত্রা’ ২০২২ সালের ‘শামসেরা’কে মান্ধাতা আমলের ‘২৫ বছর আগে পিতা হত্যার প্রতিশোধের গল্প’ না বানিয়ে ফেলতেন। উচ্চ বংশের বানিয়া আর বৃটিশদের হাত থেকে নিজ সম্প্রদায়কে মুক্তির গল্প বলতে গিয়ে কখনো Mangal Pandey মুভির কিছু ইন্সপিরেশন, কখনো Thugs of Hindustan এর আইটেম সং, কখনো Lagan এর চাবুকের বাড়ি, আবার Dhoom 2 মুভির ট্রেন থেকে বৃটিশ ক্রাউন চুরি প্রভৃতি দৃশ্যের মিশেলে জগাখিচুড়ি বানিয়েছেন পরিচালক। আর ক্লাইম্যাক্সে হিচককের ‘বার্ডস’ মুভির হোমাজটা যখন এলো আর সত্যিই সহ্য হয় নি।
.
পারফর্ম্যান্স বললে সঞ্জয় দত্ত ও রণবীর কাপুরের নিজেদের সাধ্যমত এফোর্ট দিয়েছেন। কিন্তু পরিচালক সাঞ্জু বাবাকে মনে হয় KGF এর চ্যাপ্টার ২ তে দেখে খুবই ইম্প্রেস হয়েছিলেন। তাই ওনাকে বলেছেন রকি ভাইয়ের ‘কালানিশকভ’ এর গুলি খেয়ে যেভাবে চেঁচিয়ে গেছেন সেভাবেই যেন প্রতিটা একশান সিকোয়েন্সে যেন চিল্লাচিল্লি করেন তিনি। সঞ্জু বাবা তাই করেছেন পুরো ডেডিকেশনের সাথে। রনবীর কাপুরের এক্টিং এবিলিটি নিয়ে কোন প্রশ্ন করবো না; তেমনি ভানি কাপুরের কস্টিউম চয়েজ নিয়ে কথা বলতে চাইছি না; বলতে গেলে ব্যাপক গালিগালাজ আসবে। শুধু এট্টুক বলি- যে দুয়েকটা শটে ভানি কাপুরের গায়ে কাপড় ছিল না- ওট্টুকই দেখতে ভাল্লাগছে তারে। রোনিত রয় আর সৌরভ শুক্লা লিমিটেড টাইমের মানানসই কাজ করেছেন।
.
ভিএফেক্স আর স্পেশাল এফেক্টেসের দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের কি মুড সুইং হয়েছে পুরো মুভিতে বলে বোঝানো যাবে না। কিছু কিছু দৃশ্যে এত চমৎকার ফিনিশিং আর ক্লেভার এফেক্ট ব্যবহৃত হয়েছে দর্শক হিসেবে চমকে গেছি। আর কিছু দৃশ্যে মনে হয়েছে Kine Master এর ক্রোমা এফেক্টে আমি এরচেয়ে ভাল কাজ ডেলিভার করতে পারতাম। ২৫ বছরের টাইম জাম্পের পর ক্যারাক্টার মেকাপে কোন পরিবর্তনই আনা হয় নি। স্ক্রিপ্ট ও স্টোরির পর মেকাপ, স্ক্রিন প্লে আর এডিটিং সবচেয়ে দুর্বল এস্পেক্ট এই মুভির। দুঃখের বিষয় হল- ডিরেক্টর নিজ থেকে কনশাস ডিসিশান নিয়ে এমন দুর্বল মুভি বানিয়েছেন। এমন নয় যে তিনি বানাতে পারেন না। বলিউডের সবচেয়ে ওয়েল মেড রিমেক ‘অগ্নিপথে’র ডিরেক্টর কারান মালহোত্রা। তার পরের কাজ ‘ব্রাদার্স’ হিট না হলেও গুণগত দিকে অত খারাপ বলা যায় না। আর তিনি ৭ বছর পর এটা কি মুভি বানালেন? হতাশাজনক।
 
রিভিউটি লিখেছেনঃ MD Khairul Bashar Badhon 
 
 
মুভি ট্রেইলারঃ

 
 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.