Header Ads

1917 Full Movie Review In Bangla | ১৯১৭ বাংলা রিভিউ ফুল মুভি | Dean-Charles Chapman | George MacKay | Daniel Mays

 


  • Film: 1917 (2019)
  • Genre: War, Drama
  • Language: English
  • Running Time: 1h 59m
  • Director: Sam Mendes
  • Cast: George MacKay, Andrew Strong, Mark Strong, Benedict Cumberbatch
  • IMDB: 8.3/10
  • Rotten Tomatoes: 89%
  • Metacritic: 78%
  • Google Users: 91%
  • Personal Rating: 10/10

NO SPOILER

I'm going home to see my mother
And all my loved ones who've gone on
I'm only going over Jordan
I'm only going over home.
I am a poor wayfaring stranger
I'm traveling this world of woe
Yet there's no sickness, toil nor danger
In that bright land to which I go.
অনেক অনেকদিন পর একটা সিনেমা দেখি, যেটা দেখার পর সিনেমা লাভার হওয়ার জন্য গর্ববোধ হয়, ভালো লাগে। ২য় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে অনেক সিনেমা দেখেছি, তবে ১ম বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে তেমন একটা সিনেমা দেখা হয় নি। তবে এ যাবতকালে যত যুদ্ধ বিষয়ক সিনেমা দেখেছি, তাদের মধ্যে এ সিনেমাটা একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, ব্রিটেন, বাঘা বাঘা দেশগুলোর হর্তাকর্তারা নিজেদের ইগো স্যাটিসফাই করতে যুদ্ধ তো লাগিয়ে দেন। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে পরিবার, ভালোবাসার মানুষ ছেড়ে আসা সৈনিকদের কেমন লাগে, কি পরিমাণ ভয়াবহতা সঙ্গী করে তাঁরা বেঁচে থাকেন, তা ওই হর্তাকর্তারা যদি বুঝতেন! আমি যুদ্ধের ১০৫ বছর পর, একটা ৪ কোণা স্ক্রীনে ২ ঘন্টার একটা সাজানো ফিল্ম দেখে আঁতকে উঠেছি, চোখ ভিজে গেছে। তাহলে সেই যুদ্ধের সময় সেই ভয়াবহতা যারা চাক্ষুষ অবলোকন করেছেন, যারা আসলেই তাদের প্রিয়জন, বন্ধু, ভাইকে হারিয়েছেন, তাদের না জানি কেমন লেগেছিলো! স্যাম মেন্ডেসের পরিচালনা বিয়ে বলার কিছু নাই। তিনি নোলান, স্করসিসি, ভারবিনস্কি, ইস্টউড লেভেলের মানুষ। এবং এই সিনেমায় তিনি যেনো আরেকবার সেই প্রমাণ দিলেন। সিনেমার আবহ সঙ্গীত, লোকেশন, রাতের বেলা বোম্ব ব্লাস্টের ঝলকানি, সৈন্যদের আর্তনাদ, যুদ্ধ, আমার মনে হচ্ছিলো আমি ১৯১৭ সালেই চলে গিয়েছি! একজন পরিচালক কোন লেভেলের মাস্টারমাইন্ড হলে এমন নিখুঁতভাবে প্রতিটি ঘটনা ১০৫ বছর পরেও ফুটিয়ে তুলতে পারেন! এই সিনেমাটার আফসোস যে এটা জোকার, প্যারাসাইট, দি আইরিশ ম্যান, ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড, ম্যারিজ স্টোরী, ফোর্ড ভার্সাস ফেরারী এর সমসাময়িক মুক্তি পেয়েছিলো। স্যাম মেন্ডেসের আফসোস যে তাঁকে অস্কারে বং জুন হো, মার্টিন স্করসিসি, টড ফিলিপস, কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনোর সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিলো। তবে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি জর্জ ম্যাকেকে অস্কারে সেরা অভিনেতাদের তালিকায় দেখতে না পেয়ে। হয়তো তাঁর আফসোস সবচেয়ে বেশি যে তিনি ফিনিক্স, বান্ডেরাস, ড্রাইভার, ডিক্যাপ্রিও, প্রাইসের সাথে তাঁর নাম সংযুক্ত করতে পারেননি। পুরোটা সিনেমায় এই বেবি ফেস সৈনিক মাথাফাকা অভিনয় করে গেছে। হি রিয়েলি ডিজার্ভড এন একাডেমী এওয়ার্ড নমিনেশন এটলিস্ট। এই সিনেমাটার কাহিনী পরিচালক স্যাম মেন্ডেস তার প্যাটারনাল গ্র্যান্ডফাদার আলফ্রেড ম্যান্ডেসের কাছ থেকে জানতে পারেন যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সিনেমাটি ৯২ তম অস্কারে সেরা সিনেমা, সেরা পরিচালক, সেরা অরিজিন্যাল স্ক্রিনপ্লে ইত্যাদির জন্য মনোনীত হয় এবং সেরা সিনেমাটোগ্রাফী, সেরা সাউন্ড মিক্সিং ও সেরা ভিজুয়াল এফেক্টে অস্কার পায়।
গল্প সংক্ষেপঃ
১ম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে যখন জার্মানির পরাজয় সুনিশ্চিত, তখন তারা নর্দার্ন ফ্রান্সে ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট থেকে পিছু হটার নাম করে ব্রিটিশ আর্টিলারির জন্য ফাঁদ পাতে এবং তারা টেলিফোন লাইন কেটে দেয়। কর্ণেল ম্যাকেনজির তত্ত্বাবধায়নে ১৬০০ সৈনিক সমৃদ্ধ ডেভনশায়ার রেজিমেন্ট জার্মানদের পিছু হটা দেখে তাদেরকে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এটা যে জার্মানদের ফাঁদ, তা তাদের জানানোর মতো অবস্থা ছিলো না কারণ টেলিফোন লাইন কাটা। তখন জেনারেল এরিনমোরের বার্তা নিয়ে ল্যান্স কর্পোরেল উইলিয়াম স্কোফিল্ড এবং ল্যান্স কর্পোরেল টম ব্লেক রওনা দেয় এই বার্তা ম্যাকেনজির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে। তাঁরা কি পারবে এই দূর্গম পথ ও দূর্গম সময় পাড়ি দিয়ে ঠিক মতো পৌঁছতে? পারবে ১৬০০ সৈনিকের জীবন বাঁচাতে?

রিভিউটি লিখেছেনঃ Mehedi Islam Mridul

 

মুভি ট্রেইলারঃ

 



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.