Header Ads

Chehre | চেহরে ফুল মুভি রিভিউ বাংলা | Movie Review Bangla | Amitabh Bachchan | Emraan Hashmi | Krystle D'Souza | Rhea Chakraborty

 


Chehre | চেহরে (2021)
IMDB 7/10
Me 3/10
অনেক মুভিই তো দেখা হয়..
Go Goa Gone, Ajnabee মুভি দেখার পর Aitraaz খুঁজে পাচ্ছিলাম না.. তাই আজকের তৃতীয় মুভি দেখলাম চেহরে..
মুভির ভালো মন্দ অনেক রিভিউ দেখেছি তবে মুভি দেখার পরে মনে হচ্ছে কেন দেখলাম.. আসলে 2 ঘন্টা 18 মিনিট মনে হলো মেন্টাল টর্চারের মধ্য দিয়ে গেলাম.. আমি এই রিভিউ দিচ্ছি যাতে IMDB তে 7+ রেটিং দেখে আমার মতো কেও ভুল না করে, সেই জন্য..
######SPOILER_ALERT######
কেও যদি সিনেমা দেখতে না চান তাহলেই কাহিনী পড়বেন..
কাহিনী সংক্ষেপ
ইমরান হাশ্মীর গাড়ি স্নো তে আটকে যায়.. তাকে এক অচেনা বৃদ্ধ তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায়.. সেখানে অমিতাভ বচ্চন সহ চার বৃদ্ধ থাকেন যারা তাদের যৌবনে জাস্টিস সিস্টেমে যুক্ত ছিলেন.. অমিতাভ, ও আরেকজন ছিলেন উকিল.. একজন জজ আর একজন জল্লাদ.. তারা হাশ্মিকে বলেন তারা প্রতি রাতে জাজমেন্ট খেলা খেলেন যেখানে তারা তাদের আগের রোল প্লে করেন (মানে উকিল, জজ, জল্লাদ) আর অপরাধীকে সাজা দেন.. অমিতাভ অপরাধীর বিপক্ষে লড়েন.. হাশ্মিকে তারা অনুরোধ করেন খেলার জন্য.. হাশ্মি খেলতে চাননা তারপরও তাকে জোর করা হয় এবং তিনি রাজি হন.. পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন যে এটা খেলা না, এখানে আসল জাজমেন্ট এই চার পাগল বৃদ্ধ দিচ্ছে.. তিনি দেখেন বাসার সকল দরজায় ভিতর থেকে তালা লাগানো..
এরপরের কাহিনী হাশ্মির অতীতে.. তিনি তার বসকে বসের স্ত্রী (ক্রিস্টাল ডিসুজা) এর সাথে প্ল্যান করে হার্ট এট্যাক করিয়ে মেরে ফেলেন.. হাশ্মি আগে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন যে তিনি বসের স্ত্রীর মাধ্যমে ধোঁকার শিকার হয়ে বসকে মেরে ফেলেন.. মানে ক্রিস্টাল তার স্বামীকে মারার মূল উদ্দেশ্য ছিল কোটি টাকার ইন্সুরেন্স হাতিয়ে নেওয়া.. যাহোক হাশ্মির স্বীকারোক্তির পরতো আর কোনো কথাই থাকে না.. তারপরও হাশ্মির উকিল দাবি করে হাশ্মি বেকসুর খালাস পাবেন.. আর অপজিশন অমিতাভ 10 মিনিটের Closing Argument উপস্থাপন করেন যেখানে অপ্রাসঙ্গিক কথাই বেশি ছিল.. শেষে হাশ্মিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়.. হাশ্মি বলেন এসব অন্যায় হচ্ছে আপনারা জাজমেন্ট দেওয়ার কেও নন.. এরপর অমিতাভ বলেন পুরো কোর্ট প্রক্রিয়া তারা রেকর্ড করেছেন আর তারা এটা আদালতে নিয়ে যাবেন..
হাশ্মি পকেট থেকে পিস্তল বের করে তাদেরকে শুট করে রেকর্ডিং পালানোর চেষ্টা করেন.. তার পিছু করে অমিতাভ গ্যাঙ.. এরপর হাশ্মি রেকর্ডিং ভেঙে ফেলে এবং পাহাড় থেকে পড়ে যায়..
সিনেমার শেষে ক্রিস্টাল সেই বাসায় হাশ্মির ফোন ফেরত নিতে যায় এবং অমিতাভ গ্যাঙ তাকে ভিতরে নিয়ে গিয়ে তাদের সাথে খেলতে আমন্ত্রণ জানায়.. সিনেমা শেষ...
ভালো লাগা
অমিতাভ সাহেবের অভিনয় ছিল অসাধারণ.. আর মুভি শুরুর স্নো এর দৃশ্যগুলো ছিল অনেক সুন্দর..
খারাপ দিক
######SPOILER ALERT######
1. মুভির সবচেয়ে খারাপ দিক হলো ইমরান হাশ্মিকে দোষী সাব্যস্ত করা.. অমিতাভ সাহেব শেষে 10+ মিনিট নানা কথা বলেও দর্শকদের মনে হাশ্মির জন্য করুনা দূর করতে পারেন নি.. দর্শকদের কাছে মনে হবে হাশ্মিই এখানে হিরো এবং তিনি এখানে ফেঁসে গেছেন, যেটা এই মুভির ব্যর্থতা.. আর এখানে কোনো ফরেন্সিক ডকুমেন্ট দেখানো হয় নি, সাথে অমিতাভের 10+ মিনিটের বয়ান ছিল অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তায় ভরা.. হাশ্মির আর যাই হোক শেষে তাকে জীবিত রাখা উচিত ছিল.. কারণ পুরো মুভিতেই তার প্রতি অন্যায় হয়েছে শেষটা আরো ভালো করা যেত..
2. মুভির একটা ফ্ল হলো শেষে বুঝানো হয়েছে যে এই বাসায় কোনো সাজা দেওয়া হবে না.. তারা আদালতে তাদের রেকর্ডিং দেখবেন আর হাশ্মিকে দোষী প্রমান করবেন.. কিন্তু তারা সিনেমার মাঝ পর্যায়ে বলা হয় যে হাশ্মির আগের এক মন্ত্রীকে তারা সাজা দিয়েছিলেন আর তার কোট সেখানে পড়ছিলো.. তার মানে সাজা এখানে দেওয়া হয় ঠিকই.. তাহলে হাশ্মির ক্ষেত্রে রেকর্ড করা হলো কেন??
3. ক্রিস্টালের যখন এক বন্ধু আছে, তাহলে তার হাশ্মিকে প্রয়োজনটা কি?? হাশ্মির সাথে প্রেমের নাটক করে তাকে এই গল্পে আনারই তো প্রয়োজন নেই.. ক্রিস্টালের বন্ধুই তো পারতো তার স্বামীকে হার্ট এটাক করাতে.. এটাও একটা ফ্ল..
শেষ কথা
অনেক জায়গায় দেখলাম যে অনেকেই বলেছে যে চেহরে দেখতে হলে অনেক ইন্টালেকচুয়াল হতে হবে.. আপনাকে অনেক বিচক্ষন হতে হবে না হলে ভালো লাগবে না..
আমি সিনেমার শুরুর এবং শেষ Disclaimer সব পড়েছি.. এরকম কিছুই লিখা নাই.. তাই পরিচালক যখন সিনেমা সবার জন্য বানিয়েছেন তখন আপনাদেরও এরকম কিছু বলা উচিত না...


রিভিউটি লিখেছেনঃ Qudrat E Khoda

 

মুভি ট্রেইলারঃ 


 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.