Header Ads

Triangle | ট্রাই-এংগেল | Full Movie Review Bangla | Melissa George | Joshua McIvor | Jack Taylor

 



Movie: Triangle.
Genre: Fantasy/Horror/Mystery/Thriller.
Director: Christopher Smith.
Starring: Melissa George; Michael Dorman; Rachael Carpani; Henry Nixon; Emma Lung; Liam Hemsworth.
Release date: 16 October 2009.
Runtime: 1:34:58.
Country: United Kingdom, Australia.
Language: English.
Subtitles: Arabic, Bangla, English & More Languages.
এর চেয়ে বড় শাস্তি আর হতে পারে না! এই মুভি দেখে আমার মুভি দেখার স্বাদ মিটে গেছে,,, উফ!!! পুরো ৯৪টা মিনিট ব্রেইন নিয়ে খেললো এই মুভিটা। যেন ১০০ মাইল স্পীডে ব্রেইন স্ট্রোমিং হচ্ছিল মাথার ভেতরে।⚠️
ক্রিস্টোফার স্মিথ!!! ক্যামনে কি ম্যান? ক্যামনে পারলেন আপনি, দর্শকদের এই ভোগান্তির শিকার বানাতে?
যাই হোক, আসেন শুরু করি! মাথা ঠান্ডা আছে তো? ভুল করেও গরম করবেন না! নাহলে মুভির প্যাচ আর রিভিউের প্যাচ লেগে আপনার মানসিক রোগী হওয়ার সম্ভাবনা আছে!
দুই মিনিট সময় নেন, আর নিজেকে যতটা সম্ভব সহজ, সরল করুন। যত কঠিন হবেন, ততই গুলিয়ে ফেলবেন সবকিছু। যেটা বোঝাচ্ছি, সেটা শুধু বোঝার চেষ্টা করুন, যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করতে গেলে, ডিরেক্টরসহ আমার জেল হতে পারে।
আপনি, যতই প্লট সাজানোর ওস্তাদ হোন না কেন, এই মুভির কাছে প্লট সাজানো মানে গাধা দিয়ে ঘোড়ার রেস করানোর মতো। রীতিমত মাথার ব্রেইনের ব্যায়াম হয়ে যাবে এই মুভিটা দেখতে বসলে। তো আসুন হলিউডের মাথা নষ্টকরা এই মুভি সম্পর্কে জেনে আসি।
যাই হোক, মূল কথায় আসি, এই টাস্কি লাগানো মুভির মূল বিষয় হল টাইম লুপিং (Time Looping), আফটার লাইফ (After Life), আর রিয়েল ওয়ার্ল্ড (Real World).
ভেবে দেখুন তো, আমাদের অনেক সময় এমন কিছু হয়, যেমন: যে কথাটা বা কাজটা আমরা অনেক দিন আগে করেছি, ঠিক সেই কাজ, কথা, সময়, পরিস্থিতি, মানুষ যদি অনেক দিন পর ঠিক আগের রুপেই আপনার কাছে হাজির হয়, তখন দেখবেন যে আপনার একটা অন্য রকম অনুভুতি হচ্ছে। সব কিছু চেনা চেনা লাগে, সব মনে পড়েও যেন পড়ে না। এমন কিছু একটা।
☠️☠️☠️স্পয়লার এলার্ট☠️☠️☠️
জেস হলো এই মুভির মূল চরিত্র। সে একজন মা, সে তার টীমের সাথে, একটা প্রোমদতরীতে করে সমুদ্রে যায়, ঝড় আসে, তরীটি ভেঙ্গে যায়, এক জাহাজের দেখা পায়, সেই জাহাজে যায়, তার চাবির ঝোপা কুড়িয়ে পায়, মুখোশধারী একজন তার সঙ্গীদের খুন করে, সেই মুখোশধারীকে জেস পানি তে ফেলে দেয়। আবার সে আরেকটা টীমের (টীম-২) দেখা পায়। সেইম ঘটনাই ঘটে শুধু জেস ১ এর সাথে জেস ২ এর দেখা হয়, সে জেস-২ কে আবার গুলি করে, আবার সে চাবি পায়, গ্রুপ-২ এর ভিক্টর কে আহত করে, সে জেস-২ কে গুলি করে। তারপর আবার আর একটা গ্রুপের দেখা পায় (গ্রুপ-৩), তার পর সে জেস-৩ কে খুন করতে চাইলে, পানিতে পরে যায় এবং নিজেকে খুঁজে পায় সমদ্র তীরে, তারপর জেসের বাসায় গিয়ে ড্রেস পরা জেসকে খুন করে, কার অ্যাকসিডেন্ট করে, টমি (জেসের ছেলে) মারা যায়, তারপর আবার সে প্রোমদতরীর কাছে যায়। কি??? সব মাথার উপর দিয়ে গেল তো!!!😟😟😟😟😟
এবার বাস্তবিক কাহিনিতে আসুন।
মুভির পুরো কাহিনি সাজানো হয়েছে, জেসের আফটার লাইফ ওয়ার্ল্ড কে নিয়ে।
ড্রেস পরা জেস মারা যায় গেঞ্জি পরা জেসের হাতে, আর তার এই মৃত্যুই তাকে এই জগতে নিয়ে যায়। কেননা, জেস তার মৃত্যুর সাথে প্রতারনা করে, তাই তার মৃত্যুই তাকে এভাবে ট্রায়্যাঙ্গেল এ ফেলে প্রতিশোধ নেয়।
রিয়েল ওয়ার্ল্ড অফ ট্রায়্যাঙ্গেলে ড্রেস পরা জেস তার বাচ্চাকে মারে ৮ঃ১৭ মিনিটে, বন্দরে যাওয়ার আগে। তারপর, জাহাজে যখন জেস আবার ঘড়ি দেখে তখনও ৮ঃ১৭ বাজে, মানে তার শাস্তি এখান থেকে শুরু।
লক্ষ করে দেখবেন, যখন জেস তার বাচ্চা টমিকে থাপ্পর মারে, তখন বাজে ৭ঃ১৫, আর টমি মারা যায়, ৮ঃ১৭ মিনিটে।
এখন, খিচ মেরে আমাকে প্রশ্ন করেন, যে জেস কার অ্যাকসিডেন্টে মারা গেলো না ক্যালা??? জেস, মরে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু, তার আত্মা বেঁচে ছিলো, জীবিত জেস হিসেবে, যেই জেস আবার সেই অ্যাকসিডেন্টের জায়গা থেকে বন্দরে যায়, তারপর আবার ট্রায়্যাঙ্গেলের কাহিনী শুরু হয়।
কারণ, গাড়িতে মৃত জেসের গায়ে যে জামাটা ছিল সেটাতে সেই রঙ লেগেছিলো যেটা বাসায় তার বাচ্চা টমি মেঝেতে ফেলেছিল। কিন্তু, জীবিত জেস একটা শর্ট পরে ছিল। আর অ্যাকসিডেন্ট-টা ছিল জেস এর আফটার লাইফ অফ ট্রায়াঙ্গেল এর শাস্তি, যার জন্য শর্ট পরা জেস আবার বেঁচে যায় পরবর্তী শাস্তির জন্য।
জাহাজে যখন, গ্রেগ কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল সময় এর কথা, তখন সে বলেছিল ১১ঃ৩০, আর তাদের প্রোমদতরীটিও ভেঙ্গেছিল আর 'হেদার' কেও হারিয়ে ফেলেছিল ১১ঃ৩০ মিনিটেই।
কার অ্যাকসিডেন্ট আর স্ট্রোম এই দুই ঘটনার মূল বিষয় হলো, কেউ খুন হয়েছে বা মারা গেছে। যার ফলে, সে বার বার তার ক্লোনের দেখা পায়, আবার ফিরে আসার জন্য।
এবার আসি, কার অ্যাকসিডেন্টের পর যেই ড্রাইভারটা আসে তার কাছে, এই বাবু মশাই-ই আসল প্যাচ লাগাইছেন। ওরে, AK 47 দিয়ে গুলি করা উচিত।
অ্যাকসিডেন্টের পর সেই ড্রাইভার এসে জেসকে বলে, Can I give you a ride?????☣️☣️☣️☣️☣️
সেই ড্রাইভার এর নামই হলো মৃত্যু (প্রতিশোধ)। সে জেসের কাছে আসে, জেসকে আরেক জগতে নিয়ে যাওয়ার জন্য (পুনরায় প্রোমদতরীর কাছে নিয়ে যায়)। এমন কি সে জেসকে বলে যে, সে ট্যাক্সির মিটারটা বন্ধ রাখছে, এবং সে ফিরে আসবে কি না আবার এটা জানতে চায়, জেসও প্রমিস করে, সে আবার ফিরে আসবে, এটাই মূলত ট্রায়াঙ্গেলের আহবান।
জেস যে মারা গেছে এজন্য ড্রাইভার (মৃত্যু) তার কাছে আসে নাই, ড্রাইভার আগে প্রশ্ন করেছে, যে সে (জেস) যদি তার সন্তানের মৃত্যু মেনে নেয়, তাহলে যেন সে তার সাথে আসে!!! কিন্তু জেস তার কথা রাখেনি। এর মাধ্যমেই সে মৃত্যুর সাথে প্রতারনা করে এবং মৃত্যুই তার কাছে বার বার ফিরে আসে।
সারাংশঃ জেস কখনই তার এই টাইম লুপকে বন্ধ করতে পারবে না, কারন সে বার বার জাহাজে যাবে, আর তার ছেলেকে দেখতে চাইবে, এভাবে পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। আর এই লুপের কোন রিফ্রেশমেন্ট পয়েন্ট নেই, সমসাময়িকভাবে এটা চলতেই থাকবে।
জানি, অনেকেরই, এ পর্যন্ত মাথা কয়েকবার ঘুরে গেছে, আমারও ঘুরেছেরে ভাই, এমন ভাবে মাথা ঘুরেছে যে, রুমের দরজা খুঁজে পাচ্ছিলাম না যে রুম থেকে বের হবো। সমস্যা নাই, যারা বুঝেন নাই, তারা মাথা ঠান্ডা রেখে, খুবই সিম্পল লজিক নিয়ে, ঠান্ডা ভাবে আবার প্রথম থেকে পড়েন, ইনশাআল্লাহ বুঝে যাবেন, এর চেয়ে ক্লিয়ার করতে গেলে, আমার পাগল হওয়ার দায়ভার আপনাদের কে নিতে হবে কিন্তু!!!😅
যারা এখনও এই মুভিটি দেখেন নাই তারা দেখে নিতে পারেন অসাধারণ টাইম লুপের এই মুভিটি।💥💥💥 দেইখেন আপনি আবার মুভির মধ্যে প্যাচাইয়া যাইয়েন না যেন।😵😵😵😵😵
"BEST OF LUCK"😇😇😇😇😇
ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো!!!🙏🙏🙏🙏🙏
Happy Watching & Enjoy


রিভিউটি লিখেছেনঃ Nasim Mahmud Nirob

 

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.