Header Ads

Ustad Hotel | ওস্তাদ হোটেল বাংলা রিভিউ | Full Movie REview | Dulquer Salmaan | Thilakan | Siddique


 

বিরিয়ানি খেতে চাই! করিম ইক্কার তৈরি বিরিয়ানি আমি একবার খেতে চাই।
🎬USTAD HOTEL
®⭐⭐⭐⭐
📢স্পয়লার এলার্ট📢
সমুদ্রের কিনারে জীর্ণশীর্ণ খুঁটির উপর, স্ব-গৌরবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকা, করিম ইক্কার হোটেলের বিরিয়ানী কখনো খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে? সোজাসাপ্টা উত্তর হয়নি, আমাদের কারোই হয়নি করিম ইক্কার মায়াময় জাদুর হাতের রাধুঁনিতে, জিবে জল এসে যাওয়া সেই বিরিয়ানী খাওয়ার সৌভাগ্য!
◾তবে আমরা কেউ করিম ইক্কার বিরিয়ানির স্বাদ জিবে চেটে দেখতে না-পারলেও। "উস্তাদ হোটেল"-সিনেমার গল্পের যে চরিত্র একবার নিতে পেরেছে করিম ইক্কার বিরিয়ানির স্বাদ, সে কখনোই ভুলতে পারবেনা সেই অমৃত স্বাদের কথা।
আমি শুধু লিখে যেতে চাই, কিন্তু জীবন গন্ত্যবের এলো মেলো বাকে হয়ত অদূর ভবিষ্যৎে হারিয়ে যাবে সেই স্বপ্ন! কেউ হয়ত খুবই সাদামাটা উপায়ে নিজের জীবনকে উপভোগ করার স্বপ্ন বুনে। কিন্তু পারিবারিক চাপে মাঝপথে মোড় নিতে বাধ্য হয় তার জীবন গন্তব্য! কেউ সারাটা জীবন এডভেঞ্চার নেশায় দুনিয়ার এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু অর্থের অভাবে হয়তো কখনোই পূর্ণ হয়না তার ছুটে চলার স্বপ্ন! অর্থাৎ আমরা যেটা চাই, সেটা সবসময় পায়না। কারন এই দুনিয়াটা বড্ড বেশি জালিম।
◾তবে, এই জালিম দুনিয়াই এমনো কিছু সৌভাগ্যবান মানুষের জন্ম হয়। যারা হয়ত অনবরত সংগ্রাম, নয়ত জীবন গন্তব্যের ফাঁক ফোকরে সুযোগে। পূর্ণ করে নেয় নিজেদের বুনা সেই সব রঙ বে-রঙের স্বপ্নের ষোলকলা। আর ঠিক তেমই একজন সৌভাগ্যবান যুবক ফাইজি।
◾বিয়ের পর যখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতির প্রথম সন্তানে জন্ম হচ্ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই আব্দুল রাজ্জাক ধরে নিয়েছিল তাদের পুত্র সন্তান হবে। কিন্তু বিধি বাম প্রথম তো নয়, বরং একে একে চারবারেই পুত্র সন্তানের মুখ দেখতে ব্যার্থ হয় আব্দুল রাজ্জাক। কারন চারবারের চারবারই তার স্ত্রী জন্মদেয় চার চারটি ফুটফুটে মায়াবী কন্যা সন্তান।
◾অতপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, পঞ্চম বারে পুত্র সন্তানের পিতার হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করে আব্দুল রাজ্জাক। আর সেই পুত্র সন্তানই হচ্ছে সিনেমার গল্পের অন্যতম মূখ্য চরিত্র ফাইজি।
◾আব্দুল রাজ্জাকের ইচ্ছা তার একমাত্র ছেলে ফাইজি। বিদেশের বড় শিক্ষা অঙ্গন থেকে এমবিএ-ডিগ্রি নিয়ে, দেশে এসে পাঁচ তারকা হোটেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের চেয়ারে বসবে। কিন্তু এবারও বিধি বাম বাঁধ সাধেঁ আব্দুল রাজ্জাকের ইচ্ছায়! কারন ছোট থেকে চার বোনের মাঝে বড়ো হওয়া ফাইজি। তার বোনদের কল্যাণের রান্না ঘরে কাটানো সময়গুলোর বদৌলতে, তখন থেকেই আসক্ত হয়ে যায় রান্না মায়াজালে। অর্থাৎ বড় হয়ে ফাইজির একটাই লক্ষ্য স্থির হয়। যে, সে যেকোনো মূল্যেই একজন রাধুঁনি হবে।
◾যার ফলাফল স্বরুপ পিতা আব্দুল রাজ্জাক পুত্র ফাইজিকে এমবিএ-ডিগ্রি হাসিলের জন্য বিদেশে প্রেরন করলেও। পুত্র ফাইজি অতসব বড় ডিগ্রির বাদ দিয়ে, গোপনে সম্পুর্ন করে ফেলে রান্নার বান্নার উপর একটি পরিপূর্ণ কোর্স।
◾কিন্তু এক সময়ে এসে এই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে, শুরু হয় অনেক ফ্যামেলি ক্রাইসিস। কিন্তু ফাইজিও কম যাননি, অতসব ক্রাইসিসকে বাইপাস করে। বিদেশ ছেড়ে ফাইজি এসে পৌঁছে নিজের জন্মস্থান কেরালায়, তার দাদা আব্দুল করিমের কাছে। যাকে অনেক আগেই ছেড়ে গিয়েছে ফাইজির পিতা আব্দুল রাজ্জাক!
◾তো, ফাইজির দাদা করিম ইক্কার রয়েছে সমুদ্রের কিনারে একটি জীর্ণশীর্ণ হোটেল। সেখানেই আব্দুল করিম তথা করিম ইক্কা, নিজের হাতের মাধুরি মিশিয়ে তৈরি করে এক অমৃত স্বাদের বিরিয়ানি! আর করিম ইক্কার সেই অমৃত বিরিয়ানির স্বাদ নেওযার জন্য, প্রতিদিন ভিড় করে অসংখ্য মানুষ। আর এই করিম ইক্কার তৈরি বিরিয়ানির কারনে সমুদ্রের পাড়ে থাকা, "বিচ বে"-নামক পাঁচ তারকা হোটেলের ব্যাবসা দিনে দিনে গুটিয়ে যাওয়ার গন্তব্য ধরে। যার কারনে উক্ত পাঁচ তারকা হোটেলের মালিক উঠেপড়ে করিম ইক্কার পিছনে। কিন্তু তাতে কি? কারন দাদা করিম ইক্কার সাথে রয়েছে নাতি ফাইজি।
অতপর সিনেমাটির যে বিষয়গুলোর প্রশংসা করতে হয়~👏
👌অভিনয়ঃ
মালায়ালাম অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিনয় সম্পর্কে নতুর করে লিখার কিছু নেই। কারন তারা সবসময় অনবদ্য সাবলীল অভিনয়ে পারদর্শী। সেই হিসেবে "উস্তাদ হোটেল"-সিনেমায় সবাইকে ছাড়িয়ে, কেন জানি করিম ইক্কার চরিত্রটি মনে গভীরে দাগ কেটেছে! তাছাড়া দুলকার সালমান-সহ বাকিরাও অনবদ্য সাবলীল অভিনয়ের ছাপ রেখেছে।
🎥সিনেমাটুগ্রাফিঃ
সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমা গুলোর সিনেমাটুগ্রাফি সবসময় চোখ জুড়ানো হয়! তবে এদের মধ্যে থেকে আবার সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয় মালায়ালাম সিনেমার সিনেমাটুগ্রাফি! এক কথায় বললে, মালায়ালাম সিনেমার কাহিনি যেমনই হোক না কেনো, সিনেমাটুগ্রাফি কিন্তু দর্শকের চোখে প্রশান্তি ভাব ফুটিয়ে তুলবেই! যা নিয়ে নির্দিষ্ট করে বলার কিছু নেই। অর্থাৎ "উস্তাদ হোটেল"-সিনেমার সিনেমাটুগ্রাফি এমন ছিল, যে
মন চায় তার মাঝে হারিয়ে যায়।
🎁বিশেষ কিছুঃ
সাধারনত বেশিরভাগ মালায়ালাম সিনেমায় কিছু না-কিছু একটা সামাজিক মেসেজ থাকে। যা সিনেমাগুলোকে দর্শকের সাথে কানেক্টিভিটি তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উস্তাদ হোটেল সিনেমায়ও এর ব্যাতিক্রম হয়।
🔰সর্বশেষঃ খাবারের সাথে উপমহাদেশের রয়েছে আত্মার বন্ধন। ঠিক এই বন্ধনকে পরিপূর্ণ ভাবে, অনন্য অসাধারন পরিচালনার মাধ্যমে। খুবই মাধুর্যের সাথে, সিনেমায় ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে "উস্তাদ হোটেল"-সিনেমার পরিচালক। যার কারনে এত সাধারন গল্পের সিনেমা হয়েও, প্রতিটি দর্শকের মনে গভীরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে "উস্তাদ হোটেল"-সিনেমাটি। ওভারঅল ইহা একটি মাস্টওয়াচ সিনেমা বলা যায়।
____________________________________ কিছু তথ্য👇
🔰বাজেট
💁‍♂️₹১৮+/-Cr
💰বক্সঅফিস
💁‍♂️ডোমেস্টিক : No Data
💁‍♂️ওভারসীস : No Data
📟টোটাল : ₹৪১+/-Cr
🏆পুরষ্কার
🎖️২টি Filmfare-সহ মোট ৫টি নমিনেশন
🎖২টি️️ Filmfare-সহ মোট ৩টি পুরষ্কার জয়
🔰আইএমডিবি রেটিং
📶৮.৩+/- {১৩,৯৬৭+ভোট}
Happy Watching
🍿
Thanks

 রিভিউটি লিখেছেনঃ Mohammad Arfan

 

মুভি ট্রেইলারঃ
 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.